শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার

 শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি হচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ৫ টি ব্যবহার নিয়ে।এই সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য আজকে আর্টিকেলটি আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে। 

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার

বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এমন একটি মাধ্যম যে মাধ্যম ছাড়া পৃথিবীকে কল্পনা করা যায় না এবং এটি ছাড়া পৃথিবীতে অচল।এই পৃথিবীর সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্য আপনাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্পর্কে জানতে হবে। শিক্ষা ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম মানব জীবনে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ৫ টি ব্যবহার

মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে এবং শিক্ষাক্ষেত্র হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। দিন দিন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিচে শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো। 

শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার

১) অতি দ্রুত অনলাইন থেকে পিডিএফ আকারে যেকোনো বই সংগ্রহ করা সম্ভব। যেগুলো একেবারে সুন্দর করে সাজানো গোছানো থাকে। 

২) শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মনোযোগ আরো বেশি বৃদ্ধি করার জন্য শিক্ষায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করা হয়। যার ফলে অতি সহজে শিক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা অর্জন করতে সক্ষম হয়। 

৩) শিক্ষার্থী স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে না গিয়ে বিনা পরিশ্রমে ঘরে বসে উন্নত মানের শিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব। 

৪) অতি স্বল্প সময়ে শিক্ষা বিষয়ে সকল ধরনের আপডেট ও ভালো পরামর্শ পাওয়া সম্ভব। 

৫) যেকোনো ধরনের সময়ের মধ্যে রেকর্ডেট ক্লাস ও শিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব। 

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির রয়েছে নানারকমের ব্যবহার প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধা। উপরে দেওয়া শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছি। এগুলো সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো বেশি এনে দিয়েছে হাতের মুঠোয়। 

আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এতটাই ব্যবহারের মূল কারণ হচ্ছে ডিজিটাল ধারণা ও ডিজিটাল পৃথিবী।সকল ধরনের জ্ঞানকে তুচ্ছ মনে করার জন্য এবং যেকোনো তথ্য হায়দার নাগালে পাওয়ার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় শিক্ষা ক্ষেত্রে। 

শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা আলোচনা করা হলো। 

আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে শিক্ষাঙ্গনে আমরা জ্ঞান অর্জন করি।

যখনই খোঁজ নেওয়া হবে তখনই দেখা যাবে অসংখ্য সুযোগ সুবিধার কথা উল্লুক আসবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহারের ফলে। শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধাগুলো কি কি উল্লেখ করা হলো। 

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহারের সুবিধা 

১) বাস্তব জীবন থেকেও অতি দ্রুত যে কোন ধরনের প্রশ্নের সমাধান পাওয়া যায় অনলাইন থেকে। 

২) শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাসের মাধ্যমে  যাতায়াতের খরচ বেচে যায় এবং যাতায়াতের সময় অপচয় হয়না। 

৩) অনলাইনের মাধ্যমে বড় বড় কলেজ এবং ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের নিকট হতে শিক্ষা অর্জন করা যায়। 

৪) যে কোন ধরনের বই দ্রুত সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা যায়। 

৫) নিজেদের প্রয়োজন অনুসারে যেকোনো বিষয়ে দ্রুত দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায়। 

উপরে আমি মাত্র কয়েকদিন সুবিধার কথা প্রকাশ করেছি শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির। এরকম অনেকগুলো সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ  আসবে শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও  যোগযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের। 

আমাদের আর্টিকেলে দেওয়া এ কয়েকটি সুযোগ সুবিধার কথা আপনার জ্ঞানে রাখলে হবে।কারণ এই সম্পর্কিত তেমন একটি প্রশ্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমরা সম্মুখীন হয় না।তবে আমি মনে করি শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্পর্কে জ্ঞান রাখা ভালো। কারণ এখান থেকে প্রশ্ন আসে নানা রকমের কুইজ প্রতিযোগিতায়। 

আমাদের শেষ কথা - আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কিভাবে কাজে আসে। আশা করি এই আর্টিকেল থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং তার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে চাহিদা। বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের জ্ঞান অর্জন করে। আমাদের জ্ঞান অর্জনের সেরা একটি মাধ্যম। 

শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের মূল কারণ হচ্ছে শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির।শিক্ষা জীবনে শিক্ষার্থীদের কে অনুপ্রেরণা দিতে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিসীম। 

যদিও এদের কিছু খারাপ দিক রয়েছে তবে কিন্তু ভালো দিকের সংখ্যা বেশি। তাই আমাদের উচিত খারাপ দিকগুলোতে  অগ্রসর না করে ভালো দিকগুলোকে বিবেচনা করে আমাদের শিক্ষাজীবনে ভালো কিছু অর্জন করে নেওয়া।যারা ভালো ছাত্র তারা কখনো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহার করবে না। তারা সব সময় সঠিক কাজে ব্যবহার করবে। 




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url